দুই বান্ধবীকে অপহরণের পর একজনকে ধর্ষণ; আটক ৪

নিউজ ডেস্ক : গাজীপুরের কালীগঞ্জ-এর ভাটিরা গ্রামের দৃষ্টিনন্দন সড়কে একদল বখাটে দুই বান্ধবীকে জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে একজনকে ধর্ষণ ও অপরজনকে শ্লীলতাহানি করে। ভুক্তভোগী যুবতী প্রাণ-আরএফএল কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে চাকরি করে।

 

এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাটিরা গ্রামের দক্ষিন বিলের দৃষ্টিনন্দন সড়কের ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট ) বিকেলে ধর্ষণ মামলায় চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ৮ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো ৪ জনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপহরণ, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়; মামলা নাম্বার ৫(৮)২৩।

 

ভুক্তভোগীদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার যুবতীর বাড়ি বড়গাঁও গ্রামে এবং অপরজন মোক্তারপুর গ্রামের। মামলায় গ্রেফতার চারজন হলো- বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া এলাকার বাদলের ছেলে নাদিম, খলাপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে জাকারিয়া, বাশাইর এলাকার ফিরোজ সরকারের ছেলে মেহেদী এবং একই এলাকার মিন্টুর ছেলে শাকিব।

 

পলাতক আসামিরা হলেন- ভাটিরা এলাকার বাবুলের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫), মৃত সোবহানের ছেলে জাকারিয়া (৩৫), রমিজ উদ্দিন রুমির ছেলে হোসেন (৩৫) এবং সাইদের ছেলে সায়েম (৩০)।

 

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বান্ধবীর একজন আগে থেকেই পলাশ উপজেলার একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ওই কোম্পানিতে নতুন করে চাকরিতে যোগ দিতে গত সোমবার বিকাল ৫টার দিকে অপর বান্ধবী বাড়ি থেকে বের হন। অপর বান্ধবী সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ওই কোম্পানির গেটে পৌঁছান। কোম্পানিতে প্রবেশের নির্ধারিত সময় অতিক্রম হওয়ায় তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি।

 

সন্ধ্যা হয়ে যাওয়া তারা এক বান্ধবীর আত্মীয় বাড়ি যেতে শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে জামালপুর খেয়াঘাট পৌঁছায়। সেখান থেকে অটোরিকশায় যাওয়ার সময় তাদের অপহরণ করে ভাটিরা এলাকার ইটাখরাই বিলের মাঝে দৃষ্টিনন্দন নামক সড়কের পাশে থাকা বিএডিসি সেচপাম্পসংলগ্ন ব্রিজে নিয়ে একজনকে ধর্ষণ করে আসামি মহিউদ্দিন, জাকারিয়া, হোসেন, সায়েমসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জন। এছাড়া অপর বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি করতে থাকে।

 

এ সময় বিলে মাছ ধরতে থাকা স্থানীয় এক যুবক এগিয়ে আসলে তাকে ছুরি উঁচিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে ৪ যুবককে আটক করে পুলিশে দেন। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই অহিদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার নারীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Related Articles:
টঙ্গীতে মাদক কারবারি গ্রেফতার