স্টাফ রিপোর্টার : জাতির জনক জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টঙ্গী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবক ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
গতকাল দুপুরে টঙ্গী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হায়দার সরকার। সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবালের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনী নিয়ে আলোকপাত করেন বিশেষ অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গাজীপুরের মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহার ভূঁইয়া।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আব্দুল আলিম মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা রাজীব হায়দার সাদিম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জাহিদুল কবির আনোয়ার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা কাজী মনজুর, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নাজমা হোসেন, শিরিন আক্তার, মহিলা কাউন্সিলর ফেরদৌসী জামান ফিরু, হাজী হাসান উদ্দিন, নয়ন পাটোয়ারী, সিনিয়র সাংবাদিক আবু তাহের, রেজাউল কবির, হাসান মামুন, কাজী রফিক, বশির আলম, রাজিব হাসান, জাহাঙ্গীর আকন্দ,গাজী মামুন, রাজিব হাসান, আল আমিন হোসেন ও নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আগস্ট মাস বাঙালি জাতির শোকের মাস। এ মাসেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এ দেশেরই কিছু কুচক্রী মহল নির্মমভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে। এ ঘটনায় জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত। বক্তারা এ সময় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের যথাযথ শাস্তির দাবী জানান।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন ও সুুসিল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ প্রেসক্লাবের নির্বাহী পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, টঙ্গী প্রেসক্লাব থেকে অর্থ আত্মসাৎ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের কারণে বহিষ্কৃত একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত টঙ্গী প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালনে বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করে আসছিল। তাদের অপচেষ্টাকে রুখে দিয়ে গতকাল বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী টঙ্গী প্রেসক্লাবের নির্বাচিত কমিটির সভাপতি এম এ হায়দার সরকার ও সাধারণ সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবালের নেতৃত্বে পালিত হয়।