কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে জরিপে সবার চেয়ে এগিয়ে শর্মিলী দাস মিলি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাত পোহালেই গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এরইমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী ১১প্রার্থী তাদের নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষ করেছেন। ১১ প্রার্থীর মধ্যে একজন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বাকি ১০ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতি সঙ্গে জড়িত। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

ইতোমধ্যে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত জনমত জরিপে সকল প্রার্থীর চেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন কলস প্রতীক নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শর্মিলী দাস মিলি। মিলি আওয়ামী পরিবারের সদস্য এবং দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তার পিতা জিতেন্দ্র চন্দ্র দাস ছিলেন একজন স্বনামধন্য স্কুল শিক্ষক এবং থানা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক। বঙ্গবন্ধু ও পিতার আদর্শে বিশ্বাসী শর্মিলী দাস মিলি এর আগেও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। যে কারণে পুরো উপজেলায় রয়েছে তাঁর পরিচিতি ও সুনাম।

 

এছাড়া, চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতিকে আশরাফী মেহেদী হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু জাফর মো. শামসুল হক এবং টিয়াপাখি মার্কা নিয়ে মোজাম্মেল হক জনপ্রিয়তায় নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর জরিপ থেকে দেখা যায় এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অবস্থানে আছেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শর্মিলী দাস মিলি। এরপরেই আছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফী মেহেদী হাসান এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু জাফর মো. শামসুল হক ও মোজাম্মেল হক। তবে, জরিপে প্রায় ১৭ শতাংশ জনগণ ভোটদানে বিরত থাকার পক্ষে মতামত দিয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসান দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। আমজাদ হোসেন স্বপন মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং হাবিবুর রহমান হাবিব আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।

 

অপরদিকে, ৫ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন মোজাম্মেল হক (টিয়া পাখি), আবু জাফর মো. শামসুল হক (তালা), নুরুজ্জামান (মাইক), এম এ সাদ্দাম হোসাইন রুবেল পালোয়ান (উড়োজাহাজ) ও মো. ফারুক ভুঁইয়া (চশমা)। এদের মধ্যে তালা প্রতীকে আবু জাফর মো. শামসুল হক ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

 

অন্যদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থীই দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কলস প্রতীকের শর্মীলী দাস মিলি কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং গাজীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি। ফুটবল প্রতীকে লড়ছেন শর্মিলা রোজারিও বর্তমান পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। হাঁস প্রতীকের জুয়েনা আহমেদ কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

 

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম জানান, উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২০৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৬৯ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৩ জন ও হিজড়া ভোটার ২ জন। তিনি আরও জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ৯০ ভোট কেন্দ্রের ৫৪৫টি কক্ষে ৮ মে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।