বিনোদন ডেস্ক : ২০০৮ সালের ‘প্যান্টেনা ইউ গট দ্য লুক’ প্রতিযোগিতায় ‘সেরা হাসি’ পুরস্কার পাবার পর শোবিজে যাত্রা শুরু করেন আইরিন সুলতানা। দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও একজন র্যাম্প মডেল হিসেবে সফল পদচারণা ছিল তার। সেখান থেকে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে পা রাখেন চলচ্চিত্রে। প্রথম চলচ্চিত্র দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’। এরপর দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘টাইম মেশিন’, আলভী আহমেদের ‘ইউটার্ন’, সাইফ চন্দনের ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’, এসএ হক অলিকের ‘এক পৃথিবী প্রেম’, সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘শেষ কথা’, আকাশ আচার্য্যর ‘মায়াবিনী’ ছবিগুলোতে দেখা গেছে আইরিনকে। কাজের সময় কাপড়-চোপড়ের কথা..
বর্তমানে শোবিজে মিষ্টি হাসির আইরিন ওয়েব সিরিজসহ কলকাতার ছবিতেও কাজ করছেন। ব্যক্তিগত নানা বিষয় ও কাজ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এ প্রতিবেদকের সঙ্গে। তার কাছ থেকে শুরুতেই জানতে চাওয়া হয় ওয়েব সিরিজ নিয়ে-
আমার অভিনীত ট্র্যাপড নামে ওয়েব সিরিজটি বেশ প্রশংসিত হয়। এরপর ধোঁকা রিলিজ হলো। পার্টনার নামের একটা প্রজেক্টে কাজ করছি, কিছু অংশ বাকি আছে। চলতি মাসে নতুন আরেকটি কাজে যুক্ত হবো। এছাড়া কয়েকটি প্রজেক্টেও কথাবার্তা হয়েছে।
ওয়েব সিরিজে আপনাকে সাহসী দৃশ্যে দেখা গেছে। ভবিষ্যতে কী এমন দৃশ্যে কাজ করবেন?
আপনি যে অর্থে সাহসী দৃশ্যে কাজের কথা বলতে চাইছেন। আমি এটিকে সেভাবে দেখছি না। একটা ইন্ডাস্ট্রিতে সব ধরণের কাজ হয়। আমি ভিন্নধর্মী কাজ করতে আগ্রহী। কাজের মধ্যে ভেরিয়েশন আসুক, এটা আমি সব সময় চাই। আসলে সব সময় এই ধরনের কাজ করা হয়ে ওঠে না। গল্পের চরিত্র অনুযায়ী আমি কাজ করি। কাজের সময় আমার মাথায় থাকে না কাপড়-চোপড় (কাজের সময় কাপড়-চোপড়ের কথা) ওপেন হয়ে যাচ্ছে কিনা। গল্পের চরিত্র হিসেবে যেকোনো চরিত্রে আমি কাজ করতে প্রস্তুত। চরিত্র যেমন হবে আমার তো সেভাবে প্রস্তুত হতে হবে।
ওয়েব সিরিজ নাকি চলচ্চিত্র। কোনটিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন?
আমার কাছে আগে চলচ্চিত্র। ওয়েব সিরিজও এখন উন্নত হচ্ছে। এখানেও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ করতে চাই। আমার কাছে প্রধান গুরুত্ব কনটেন্ট। আর কনটেন্ট ভালো হলে আমার কাছে মনে হয় না এটা ওয়েব সিরিজ, ওয়েব ফিল্ম নাকি সিনেমা।
সামনে দর্শক আপনাকে কোন কোন চলচ্চিত্রে দেখতে পাবেন?
এরই মধ্যে আমার অভিনীত রৌদ্রছায়া চলচ্চিত্র সেন্সর হয়ে গেছে। সিনেমা হল খুললে পরিচালক ও প্রযোজকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তি দেবেন। এতে আমার সহশিল্পী হিসেবে আছেন নীরব ভাই। আরও রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ, শাহেদ শরীফ খান, সুষমা সরকারসহ একঝাঁক শিল্পী। এছাড়া গন্তব্য নামের একটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ওপার বাংলার ছবি শিবরাত্রী রিলিজ হবে। ছবিটি আগে ফেস্টিভ্যালে যাবে। তারপর হয়তো সিনেমা হলে মুক্তির সিদ্ধান্ত হবে।
আপনার নতুন চলচ্চিত্র-
‘কাউনডাউন’ চলচ্চিত্রে সাইন করেছি আমি। ভারতের চলচ্চিত্র এটি। সবকিছু ঠিকঠাক হলে কাজ শুরু হবে।
তাহলে আপপনি কি পরপর দুটি ভারতীয় চলচ্চিত্রে কাজ করছেন-
হ্যাঁ, ঠিক তাই। সুযোগ পেলে ভারতে আরও অনেক কাজ করতে চাই। সময়ের অপেক্ষা।
আপনার বিয়ে নিয়ে জানতে চাই। নাকি গোপনে বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন!
মিষ্টি হাসি হেসে বলেন, আপাতত তেমন কিছু হচ্ছে না। বিয়ে করলে অবশ্যই জানাবো। ধুমধাম করে কিছু না করলেও জানিয়ে বিয়ে করব। অন্তত নিজের মানুষরা জানবেন। কাজের সময় কাপড়-চোপড় কথা ..
Related Post:
কর্মক্ষেত্রে সাজ পোশাক ও আধুনিক নারী