নিউজ ডেস্ক : জেলায় আজ পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক সাংবাদিকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। কোনাবাড়ী উড়াল সড়কের পূর্ব পাশে বাইমাইল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের দুইযাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে আরো আটজন আহত হয়েছে। ১০ জনের দলটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর বেক্সিমকো এলাকা থেকে হাওর দেখতে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে যাচ্ছিলেন।
নিহত দুজন হলেন- মো. শাহ আলম (৩০) ও জুয়েল মিয়া (৩২)। শাহ আলম নীলফামারী সদর থানার দারোয়ানী গ্রামের রাশিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল কারখানার মেকানিক্যাল পদে চাকরি করতেন। জুয়েল মিয়ার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম জানান, হতাহত সবাই কারখানায় কাজ করেন। শুক্রবার ছুটির দিনে তারা মাইক্রোবাস নিয়ে নিকলী হাওর এলাকায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন। মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে, চালক পালিয়ে গেছেন। অপরদিকে সকালে কাপাসিয়া উপজেলার গাজীপুর-ভাকোয়াদি-কাপাসিয়া সড়কের কোটবাজালিয়া বাজার এলাকায় ট্রাকের চাপায় মঞ্জুর হোসেন মিলন (৫২) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
কাপাসিয়া থানার ওসি এইচএম লুৎফুল কবীর জানান, নিহত মিলন কাপাসিয়া উপজেলার পাবুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাঈদ শেখের ছেলে। তিনি গাজীপুর দর্পণের সম্পাদক, দৈনিক করতোয়া ও ভোরের দর্পণ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি এবং গাজীপুর সিটি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
ওসি জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে ভাকোয়াদি-কাপাসিয়া আঞ্চলিক সড়কের কোটবাজালিয়া বাজার এলাকায় একটি বালুভর্তি ড্রামট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এদিকে সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলনের মৃত্যুতে গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আতাউর রহমান, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম, সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামানসহ গাজীপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা শোক প্রকাশ করেছেন।