বিনোদন ডেস্ক : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তভার এখন ভারতীয় গোয়েন্দাসংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। এর আগে থেকেই তদন্তে যুক্ত ছিলো ইডি। সুশান্ত মামলায় ইডি-র কাছে বহু তথ্যপ্রমাণ-সহ দেখা যাচ্ছে সুশান্ত-রিয়া চক্রবর্তী-শৌভিক এবং তাদের বন্ধু বান্ধবদের বিশাল একটা দল ড্রাগ, চরস, গাঁজা ছাড়াও আরও অনেক নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করতেন।
ফলে সিবিআই আর ইডির সঙ্গে এই মামলার তদন্তে এবার নেমেছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এলো রিয়া, শৌভিক, সিদ্ধার্থ পিঠানির মেসেজের স্ক্রিনশট। দেখা যাচ্ছে, রিয়া ও তার ভাই শৌভিকের সঙ্গে সাংকেতিক ভাষায় কিছু কথাবার্তা বলেছেন তিনি।
সেই মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করলেন সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি। সেখানে দেখা যাচ্ছে ‘ডাবি’, ‘ব্ল্যাকবেরি কুশ’ প্রভৃতি জিনিস আনা-নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছেন তারা । ‘ব্ল্যাকবেরি’-র ছবিও পাঠানো হয়েছে। এগুলি আসলে মাদক মেশানো সিগারেট।
শ্বেতা সিং কীর্তির টুইটে অবাক সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে। তিনি শ্বেতার বক্তব্য রিটুইট করে তিনি সেখানে লেখেন, শকড। এরই মাঝে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিয়া বলেন, সুশান্ত মারিজুয়ানা খেত, আমি থামাতে চেয়েছিলাম, কথা শোনেনি।
অন্য দিকে সুশান্তের পরিবার পাল্টা রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে এই বলে যে, রিয়াই সুশান্তকে মাদকের নেশা ধরিয়েছিল। রিয়া আর জয়া শাহ-এর হোয়াটস আপ চ্যাট থেকে বেরিয়ে আসে মাদক ব্যবহারের তথ্য। সেই অনুসারে রিয়াকে জয়া বলেন সুশান্তের “চা বা জলে কয়েক ফোঁটা দিয়ে দিতে…”।
সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে, তাঁর ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থের ক্ষেত্রেও বাড়ছে সন্দেহের তীর। বারংবার জেরা করা হচ্ছে তাকে। সুশান্তের মৃতদেহ সবার আগে দেখেছিলেন এই সিদ্ধার্থই। পরিবারের কেউ যাওয়ার আগেই বন্ধুর মৃতদেহ নামিয়ে এনেছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, রিয়া এবং তার সঙ্গীদের নারকোটিকস টেস্ট করা হবে, শীঘ্রই তাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। জানা যাচ্ছে, রিয়া ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তা হলে সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাদের।