স্পোর্টস ডেস্ক : পিয়ের এমেরিক ম্যাচের লম্বা একটা সময় গোলে পিছিয়ে ছিল লিভারপুল। ওয়েম্বলির কমিউনিটি শিল্ডের শেষটাতেও সেই অবামেয়াংই ছিলেন। টাইব্রেকারে গড়ানো খেলায় শেষ কিকটি নিতে এসেছিলেন অবায়েমাং। গোল করলে আর্সেনাল জিতবে, নইলে খেলা গড়াত সাডেন ডেথে। অবামেয়াং সে দফায়ও সফল হয়েছেন। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আর এফএ কাপজয়ীর ম্যাচে শিরোপা গেছে আর্সেনালের কাছেই। টাইব্রেকারে আর্সেনাল জিতেছে ৫-৪ ব্যবধানে।
লিভারপুলের রিহান ব্রিউস্টার তৃতীয় শটে বল মেরেছিলেন বারপোস্টে। অ্যালিসন আর আর্সেনালের ৫ শোটে সুবিধা করতে পারেননি তেমন। ইউর্গেন ক্লপের দল আসলে মোটা দাগে ওয়েম্বলিতে সুবিধা করতে পারেননি তেমন। এই মৌসুমের লিভারপুলের বিপক্ষে দলগুলো কতোখানি রক্ষণাত্মক খেলতে পারে তার একটা নিদর্শন দেখিয়েছে আর্সেনাল। মাইকেল আর্তেতার আর্সেনাল অবশ্য কিছু জায়গায় নিজেদের মুন্সিয়ানাও দেখিয়েছে। নিচ থেকে খেলা বিল্ড আপ করার ব্যাপারটা আর্সেনাল আগের চেয়ে আরেকটু ভালো রপ্ত করতে পেরেছে।
ম্যাচের ১২ মিনিটে আর্সেনালের গোলটাও এসেছে সেখান থেকে। লিভারপুলের হাইপ্রেস উপেক্ষা করে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ থেকে আক্রমণ গোছানো শুরু হয়েছিল। তারপর দ্রুত লম্বা দুই পাসে লিভারপুলের অ্যাটাকিং থার্ডে পৌঁছে গিয়েছিল আর্সেনাল। বাকায়ো সাকার ডায়াগোনাল বল বাম প্রান্তে লুফে নিয়ে বক্সের সামনে গিয়ে ডান পায়ের নিখুঁত শটে লিভারপুলের জালে বল জড়িয়েছেন তখন অবামেয়াং। তাতে আর্সেনালের হয়ে ওয়েম্বলিতে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিকও হয়ে গেছেন তিনি। লিভারপুল নিয়মিত একাদশটাই নামিয়েছিল।
ছিলেন না শুধু জর্ডান হেন্ডারসন ও অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ড। সালাহ-মানে-ফিরমিনোরা বারবার আক্রমণে উঠে হতাশ হচ্ছিলেন আর্সেনালের রক্ষণের কাছে। বিশেষ করে দুই প্রান্তে লিভারপুলের দুই ফুলব্যাককে ভালোই পাহারায় রেখেছিল আর্সেনাল প্রথমার্ধে। এরপরও অবশ্য অ্যান্ড্রু রবার্টসনকে আটকানো যাচ্ছিল না। বামপ্রান্ত থেকে দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি বিরতির আগ পর্যন্ত। দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ।
৫৫ মিনিটে সাদিও মানেকে ওয়ান অন ওয়ানে ফিরিয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। লিভারপুল সমতায় ফেরার পর ৮১ মিনিটে মার্টিনেজ আরেকবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মানের সামনে। নইলে ম্যাচটা ছিনিয়েও নিতে পারত লিভারপুল। লিভারপুলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন তাকে তাকুমি মিনামিনো। তবে ইংল্যান্ডে তার অভিষেক গোলের দিনটা আর দলের জয়ে শেষ হয়নি।
জাপানিজ মিডফিল্ডার বক্সের ভেতর মোহামেদ সালাহর সঙ্গে ওয়ান টু করে পরে ডান পায়ের প্লেসিং শটে গোল করেছিলেন ৭৩ মিনিটে। আর্সেনাল এই নিয়ে ১৬ বারের মতো কমিউনিটি শিল্ড জিতে মৌসুম শুরু করল। গানারদের চেয়ে বেশি শিরোপা আছে কেবল ম্যান ইউনাইটেডের, ২১ বার।