শাহবাজ খান : খুব কম সময়েই স্মার্টফোনের আয়ু কমে যায়। আয়ু বাড়াতে চাইলে অবশ্যই কিছু বিষয় মেনে ফোনটি ব্যবহার করতে হবে। এখনকার সময় স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের এক দিনও চলে না। এই অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ককে টেকসই করতে আমরা খুব বেশি সচেতন নই।
সূর্যের আলো- রোদ পোহালে শরীরে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে ফোনের জন্য সূর্যের আলো মোটেও উপকারী নয়। দীর্ঘক্ষণ ফোন রোদে থাকলে তা গরম হয়ে যায়। বেশি উত্তপ্ত হলে ফোনের সার্কিট বোর্ড গলে যাওয়া, স্ক্রিন ফেটে যাওয়া ও ব্যাটারি বিস্ফোরণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভেতরের পরিচ্ছন্নতা- ফোনের ওপরের অংশ সবাই পরিষ্কার করতে পারেন। তবে ফোনের ভেতরটা সহজে পরিষ্কার করা যায় না। এর জন্য থাকতে হয় বিশেষ দক্ষতা। তাই ফোনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সার্ভিসিং সেন্টারে পাঠাতে হবে।
বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জ- বজ্রপাতের সময় সবচেয়ে বেশি ফোন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বজ্রপাত হলে পাওয়ার কর্ড দিয়ে বিদ্যুৎ ফোনে ঢুকতে পারে। তাই বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জে না দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।
পেছনের পকেটে ফোন- ফোন রাখার জন্য প্যান্টের পেছনের পকেট মোটেও ভালো কোনো জায়গা নয়। পকেটমারের খপ্পরে পড়ার ভয় তো থাকেই, সেই সঙ্গে ভুল করে ফোনের ওপর বসে পড়ারও আশঙ্কাও থাকে।
টুথপেস্ট- ফোন পরিষ্কার করতে অনেকে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। আসলেই টুথপেস্ট লাগানোর পর ফয়েল পেপার দিয়ে ঘঁষলে তাতে কাজ হয় কি না, তা আগে নিশ্চিত হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে অনলাইনে থাকা রিভিউ।
ভাইব্রেশন- সারাক্ষণ ফোন ভাইব্রেশনে দিয়ে রাখলে ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয়। ফোনের আয়ু কমে যায়। তাই প্রয়োজন হলে ফোন সাইলেন্টে রাখা ভালো।
লো সিগন্যাল- সিগন্যাল দুর্বল থাকলে ফোন থেকে রেডিও ওয়েভ বেশি নির্গত হয়। এ কারণে ফোন গরমও বেশি হয়। এ সময় তাই হেডফোন ব্যবহার করা ভালো।
কভার ছাড়া ফোন- ব্যাগে ফোন রাখতে অবশ্যই কভার ব্যবহার করা উচিত। এতে ফোনের ওপর স্ক্র্যাচ পড়ে না এবং ধুলাবালি মুক্ত থাকে।