পায়ের সুস্থতায় এ বর্ষায় বাড়তি যত্ন

 

 

সৈয়দা সুলতানা : বর্ষাকালে যে কোন রোগ খুব সহজে কাবু করে ফেলে আমাদের। সচারচর সব মৌসুম থেকে এমনিতে একটু বেশি সাবধানে থাকতে হয় এ মৌসুমে আমাদের। বিশেষ করে বর্ষায় বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ হয়। তাই এই মৌসুমে থাকতে হয় একটিু সাবধানে।

 

তবে শরীরের যে কোন অংশের চাইতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের পা। বর্ষাকালে পায়ে হতে পারে চুলকানি, ঘা বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন ইত্যাদি। তাই এই সময়ে একটু বাড়তি যত্ন নিতে হয় পায়ের। আজ জানাবো কিভাবে এই মৌসুমে পায়ের জন্য একটু বাড়তি যত্ন আপনি নিতে পারেন খুব সহজে।

 

এক্সফোলিয়েট : পা এক্সফোলিয়েট করতে পারেন যদি সম্ভব হয় একদিন পরপর। আর যদি বেশি সময় না থাকে তাহলে সপ্তাহে অন্তত একদিন করুন। হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে পিউমিস স্টোন দিয়ে ভালো করে ঘষে পায়ের মৃত চামড়া তুলে ফেলুন।

 

ফুট বাথ : সবচেয়ে ভালো হয় বর্ষায় ফুট বাথ যা নিয়মিত নিয়ে পায়ের সুরক্ষার বেশ কাজ করে। তাই বাইরে থেকে ফিরে এসে সামান্য পরিমাণ অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইড হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। তবে অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইডের পরির্বতে বাথসল্টও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বাথসল্ট শরীরের সুরক্ষার জন্য বেশ গুরুতপূর্ণ উপাদান। আর এতে খুব দ্রুত জীবাণু দূর হয়।

 

জুতা নির্বাচন : বাইরে জন্য বর্ষা মৌসুম-এ অবশ্যই স্পঞ্জের স্যান্ডেল বা চটি জুতা প্রয়োজন। কারণ এতে পানি লেগে বা জমে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। সহজেই পানি শুকিয়ে যায়। তবে বৃষ্টিতে সবচেয়ে ভালো হয় গাম বুট যা সহজেই পায়ের সুরক্ষায় কাজ করে।

 

ঢেকে রাখুন ক্ষতস্থান : যদি আপনার পায়ের কোথাও কেটে-ছিড়ে যায় তাহলে সেই স্থান অবশ্যই ঢেকে রাখুন। আর খেয়াল রাখতে হবে যাতে ক্ষতস্থান পানি না লাগে। দরকার হলে ওয়াটার প্রুফ ব্যান্ড-এইড ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে পা অনেকটাই নিরাপদে থাকবে।

 

অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার : অনেক সময় পর্যন্ত যাদের পা ভিজে থাকে তাদের খুব সহজে আঙুলের ফাঁকে ফাংগাল ইনফেকশন বা ঘা হয়। আর এ থেকে শুরু হয় প্রচন্ড চুলকানি । তাই এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন এন্টি ফাংগাল পাউডার। যা ফলে খুব বেশি ছড়াতে পারে না ইনফেকশন।