রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) কার্যালয়ে সংস্কার কাজে বাধা ও হামলার ( বাসস কার্যালয়ে হামলা ) ঘটনায় মতিঝিল ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁর মালিক মো. আরিফুল ইসলাম সোহেল (৪০) এবং তার ভাই শওকতের (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বাসস’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাকসুদুল আহসান বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, রাজধানীর পল্টন থানাধীন বাসস’র বর্তমান ঠিকানার অফিসটিতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্বাবধানে সংস্কার কাজ চলে আসছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) অফিসের পেছনের সিঁড়ি ও সামনের অংশে সংস্কারের কাজ চলাকালে বেলা ১১টার সময় আসামি আরিফুল ইসলাম সোহেল ও তার ভাই শওকতের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অফিসের নিচতলায় অবৈধভাবে দখল করার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাাড়ি পিটিয়ে ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের হামলায় তিন কর্মচারী গুরুতর আহত হন। তারা হলেন, রুবেল ইসলাম (৩৩), গাজী ওমর ফারুক (৩৫) ও মো. আলাউদ্দিন (৪৩)। এরমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামিরা উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে এবং বাসস ভবন ও জমি না ছেড়ে গেলে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়ে চলে যায়।
উল্লেখ, ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর মতিঝিল ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁয় একটি মোবাইল চুুরির ঘটনায় রুটি তৈরির হেলপার রিয়াদ হোসেনকে মুখের ভেতর গুলি করে হত্যা করে আরিফ হোসেন সোহেল গুলি করেন। এই ঘটনায় পরের দিন ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২২ জুলাই মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ওয়ারী থানা পুলিশের পরিদর্শক আলিম হোসেন শিকদার। সেখানে তিনজনকে আসামি করেন তিনি। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ৯ বছর পার হলেও এখনও পর্যন্ত এ মামলার কোন সাক্ষী হয়নি। সর্বশেষ গত ২ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত দায়রা জজ ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিল। ওই দিন কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় আগামী ১৫ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।