
স্পোর্টস ডেস্ক : গত ২৯ অক্টোবর শেষ হয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন দেশে। আর দেশে ফিরেই চমকে দিলেন সবাই কে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ সামনে রেখে চলমান ফিটনেস টেস্টে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের জন্য ড্রাফটে নাম তুলতে হলে ফিটনেস পরীক্ষায় সবাইকে পাস করতে হবে।
তবে দীর্ঘ এক বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকায় সাকিবের ফিটনেস নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই পরীক্ষায় ভালোভাবেই উতরে গেছেন সাকিব। অর্থাৎ, এই টুর্নামেন্টে খেলতে আর বাধা রইল না সাকিবের। বুধবার সকাল ১০টায় মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে বিপ টেস্টে অংশ নেন সাকিব। ফিটনেস টেস্টের তৃতীয় দিনে এসে তার স্কোর ১৩.৭। বিপ টেস্টে বিসিবির বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন স্কোর ১১।
সাকিবের চেয়ে এখন পর্যন্ত কেউ বেশি স্কোর করতে পারেননি। ১৩.৬ স্কোর নিয়ে সাকিবের নিচে আছেন কুমিল্লার পেসার মেহেদী হাসান। সোমবার থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে ফিটনেস টেস্ট। ওইদিনই সাকিবের বিপ টেস্ট দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেকোনো কারণে তিনি ওইদিন দেননি। সোমবার ঠিক ৩৭৫ দিন পর সাকিব মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন।তিন দফা ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে অবহিত না করায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাতে নিষিদ্ধ হন সাকিব।
এরপরই তিনি মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট ছেড়েছিলেন। গত মার্চে মহামারীর শুরুতে সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে চলে গিয়েছিলেন। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সময় কাটিয়ে দেশে ফেরেন সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই পুরোনো গুরু নাজমুল আবেদীন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করেন এক মাস। সাকিব প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজ না হওয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবার চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। অক্টোবর মাসটা সেখানে কাটিয়ে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন। কয়েকদিন পরেই মাঠে গড়াবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে খেলবে মোট পাঁচটি দল।